সোনা পাচার মামলায় কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাওয়ের গ্রেপ্তারি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। তারই মধ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন কর্নাটকের বিজাপুরের বিজেপি বিধায়ক বসনগৌড়া পাতিল ইয়াৎনাল। তার কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
রানিয়া রাওকে নিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, "গোটা শরীরের প্রতিটি ছিদ্রে সোনা লুকিয়ে পাচার করছিলেন এই অভিনেত্রী।" তার এমন মন্তব্যের পর বিভিন্ন পক্ষ থেকে কঠোর সমালোচনা করা হচ্ছে। বিধায়কের দাবি, সোনা পাচারের সঙ্গে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও যুক্ত আছেন, এবং তিনি বিধানসভায় তাদের নাম প্রকাশ করার হুমকিও দিয়েছেন।
পাতিল আরও বলেন, "আমি বিধানসভার অধিবেশনে যে মন্ত্রীরা যুক্ত তাদের নাম বলব। আমার কাছে সমস্ত তথ্য আছে। কোথা থেকে সোনা কেনা হয়েছিল, কোথায় লুকানো হয়েছিল, কীভাবে নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল, কারা তাকে সাহায্য করেছেন, তাদের সঙ্গে অভিনেত্রীর কী সম্পর্ক, সমস্ত তথ্য আমার কাছে রয়েছে। আমি সব জানিয়ে দেব।"
বিধায়কের এই মন্তব্যের পর নেটিজেনরা তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। রানিয়া রাওয়ের ‘শরীরের প্রতিটি ছিদ্রে সোনা লুকনো’ মন্তব্যটি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক উঠেছে।
গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন রানিয়া। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং ২ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনা, তবে অভিনেত্রী কোনও রসিদ বা উৎসের কথা জানাতে পারেননি।
পরে দুবাইয়ের শুল্ক দপ্তর জানায়, গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে রানিয়া দুবাই থেকে সোনা কিনেছিলেন এবং তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, ওই সোনা নিয়ে তিনি জেনেভায় যেতে চান। তবে পরে তিনি সোনা নিয়ে ভারতেই ফিরে আসেন। পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, বারবার দুবাই যাওয়ার ভ্রমণ ইতিহাস থেকে রানিয়া সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তবে, তদন্তকারীদের দাবি, রানিয়া একেবারেই তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এ ছাড়া, তিনি তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে মারধর এবং জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ।